মাদারীপুরে ডিমের বাজারে অস্থিরতা,সংগ্রহ বন্ধ করলেন ব্যবসায়ীরা

সরকার নির্ধারিত দামে ডিম কিনতে ও বিক্রি করতে না পারার কারণে ডিম সংগ্রহ বন্ধ রেখেছেন মাদারীপুরের ব্যবসায়ীরা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) মাদারীপুর থেকে দেশের কোথাও কোনো ট্রাক ডিম আনতে যায়নি। হতাশায় ভুকছেন তাঁরা। অন্যদিকে বাজারে ডিম না পেয়ে ভোগান্তিতে পরেছেন ক্রেতারা। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ বন্ধ থাকবে।
মাদারীপুর পুরান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে একটা রেট বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা সেই নির্ধারিত দামে ডিম কিনতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা গাড়ি বন্ধ করে রেখেছি। কিন্তু এভাবে কতদিন?
ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিমের চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া এখন বাজারে সব ধরনের শাকসবজির দাম চড়া। ফলে চাপ পড়েছে ডিমের ওপর।
তবে প্রান্তিক খামারিদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়াচ্ছে। ডিম ব্যবসায়ীদের আধিপত্যের কারণে ডিমের বাজারে এই অস্থিরতা।
ভোক্তাদের অভিযোগ, ছোট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সিন্ডিকেট করে যারা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। অন্যথায় বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুবোধ কুমার দাস বলেন, সরকার ডিমের দাম বেঁধে দেয়ার পরেও বাজারে ডিম ছাড়ছেন না খামারিরা। খামারিরা জানায় তাদের এই মূল্যে পোষাচ্ছে না। তাই তাঁরা বাজারজাত করছেন না। তিনি বলেন, আমরা খামারিদের সাথে আলোচনা করেছি, তবুও তাঁরা সরকারি নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করছেন না। সারাদেশে ডিম ব্যবসায়ীদের একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। যার ফলে এমনটা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করছি। দুই একদিনের মধ্যেই এর সমাধান হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে ডিমের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে আমদানির অনুমতি দেয় তৎকালীন সরকার। এরপর দাম বেঁধে দেওয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতি পিস ডিমের জন্য ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকারও বেশি।
সোনালী বার্তা/এমএইচ