সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

২০২৫ সালে নির্বাচন হতে পারে: ড. আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৬৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মনে করেন, ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন দেয়া হয়তো সম্ভব হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের জন্য কিছু দিনের মধ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হবেও বলে জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ড. আসিফ নজরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়েও কথা বলেন। ড. আসিফ নজরুল বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা পুরোটাই বাতিল করার প্রক্রিয়ায় আছি। মানুষ এই নামগুলোই শুনতে পারে না।

এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাংবাদিকের বিচার হবে, এমন কথা আগে বলেননি বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, দায়ী না হলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার হবে না।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আগ বাড়িয়ে কিছু করবে না। তবে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি বড় হয়ে উঠেছে। জনপ্রত্যাশা তৈরি হলে নিষিদ্ধ করা হবে। তারা অতীতে কি কাজ করেছে তা সব গণমাধ্যমে এসেছে। দেশবাসী দেখেছে।

ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে বন্দি বিনিময় চুক্তির কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, এই চুক্তি ভারত মানলে তাদের শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেয়া উচিত। এই চুক্তি সঠিকভাবে মানলে তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য।

ঢালাও মামলা দায়েরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের সহযোগিতায় হতো গায়েবি মামলা। এগুলো পুলিশ করত। মামলাগুলো তৎকালীন বিরোধীদলের লোকদের বিরুদ্ধে হতো। এখন হচ্ছে ঢালাও মামলা। যারা পূর্বে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তারাই এই মামলা করছে। এই মামলাগুলোতে যাতে নিরঅপরাধ লোক শাস্তি না পান সে বিষয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় একজন বিচারক বলেছিলেন তিনি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। আরও অনেকে অনেক কিছু করেছেন।

দেশে এত গুম-খুন হলো, ভুয়া নির্বাচন হলো বিচারকরা কিছুই বললেন না। অনেক বিচারক বিচারবিভাগকে ধ্বংস করেছেন। আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির উপর আক্রমণ করেছেন। যারা এসব করেছেন তাদের আওয়ামী লীগ প্রমোশন দিয়েছে। এমন অবস্থা ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলা যেত, কিন্তু বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে কথা বলা যেত না। এখন সেখানে যে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে এগুলো আওয়ামী লীগের কাজের ফল।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর