সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন

যশোর- সাতক্ষীরা মহাসড়কের বেহাল দশা

মো. সোহাগ হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি / ১৭৪ Time View
Update : রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪

দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো পাঁকা রাস্তা, খানা খন্দ আর বড় বড় গর্তে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা সড়কটির। প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার পথচারী ও যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের। এমনকি প্রায়ই ঘটে যানবাহন উল্টে যাওয়ার মতো ঘটনাও।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সর্বশেষ জেলা যশোর ও সাতক্ষীরা। দুই জেলার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়কটি। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা যশোর- সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগআঁচড়া বাজার থেকে বেলতলা বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। সংস্কারের অভাবে রাস্তায় জমে থাকা ময়লা পানিতে হাঁটু সমান ডুবে থাকে সড়কটি। বৃষ্টিতে সড়কটি আশীর্বাদের বদলে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় এই সড়কে চলাচলকারী মানুষের কাছে।

শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি গরু ভর্তি আলমসাধু সড়কের মাঝখানে উল্টে পড়ে আছে। এর আগে মাস খানি আগে বেলতলা আমিরের মোড় নামক স্থানে রাস্তার মাঝখানে বড় গর্তের কারণে বাস ও মোটরসাইকেলের ধাক্কাই ঘটনাস্থলে আলমগীর কবির নামে এক পশু চিকিৎসক মারা যায়। সড়কটি কার্পেটিংয়ের পাকা সড়ক থাকলেও পরে সংস্কার করে ইটের সলিং করা হয়। দুর্ভোগ সেখান থেকেই শুরু। ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। মটর সাইকেল, বাস, ট্র্যাক, ইজিবাইক ও অন্য ছোট বড় যানবাহন গুলো চলছে হেলে দুলে। এলাকাবাসীর দাবি দীর্ঘদিন সড়কের সংস্কার না হওয়ায় এই পথে চলাচলা করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

স্কুল পড়ুয়া ইয়াসমিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হলে এই একমাত্র সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। অতচ এই সড়কটি ব্যবহার করতে গিয়ে ড্রেস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, হাটাচলা করা যায় না। পানির নিচে থাকা গর্তে মটরভ্যান বা ইজিবাইকের চাকা পড়ে উল্টে যাচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে।

আরশাদ আলী নামে এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে যানবহন যেতে চায় না, আর গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে থাকে। এতে চলাচল করতে সমস্যা হয় আমাদের।

বাসচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত হওয়ার কারণে গাড়ি চালাতে অনেক সমস্যা হয়, ভাঙ্গা স্থানে গাড়ি ধীর গতিতে চলার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্ট্যাডার অফিসে পৌঁছাতে না পারলে জরিমানাও গুনতে হয়।

যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে, দ্রুত কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানান।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর