বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা হত্যাচেষ্টা মামলায় নায়িকা ‍নুসরাত ফারিয়ার জামিন শাহজালাল থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ বিমানে আগুন বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু মামলা থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নুসরাত ফারিয়াকে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় : পাকিস্তান দিনাজপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত আদালতের হাজতখানায় নুসরাত ফারিয়া রাজনৈতিক-সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ কুমিল্লা সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির বাড়তি সতর্কতা

রাজশাহীতে বালুর দাম বেড়ে দ্বিগুণ

মোঃ রমজান আলী, রাজশাহী / ১০৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

রাজশাহীতে বেড়েছে বালুর দাম। বালু উত্তলোন বন্ধ থাকার অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজশাহীতে এখন বালু বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্ষা ও ঘাট ইজারাদাররা পলাতক থাকার কারণে দাম বেড়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় মোট বৈধ বালু মহাল তিনটি। রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠের শ্যামপুর বালু মহাল, গোদাগাড়ী ও চারঘাট বালু মহাল। তিনিটি বালু মহালই লিজ নিয়েছিলেন রাজশাহীর আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে ৫ আগস্টের পর তারা পলাতক রয়েছেন। এজন্য বালু উত্তলোনও বন্ধ আছে।
শ্যামপুর বালু মহাল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে বালু উত্তলোন বন্ধ আছে। তবে সামান্য পরিমাণে বালুর স্টক রাখা আছে। সেখানে ইরাজারাদারদের কেউ নেই। বিক্রি কম হয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, এখানে এখন বালু উত্তলোন বন্ধ আছে। আওয়ামী লীগের লোকজন পালিয়ে গেছে। কেউ মাঝে মাঝে চুপ করে এসে দুই এক ট্রাক বালু বিক্রি করে যাচ্ছে।

এদিকে রাজশাহী বালু মহাল বন্ধ থাকার অজুহাতে বালুর দাম বেড়েছে। ছোট এক ট্রাক বালু বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। বড় ট্রাক বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা দরে। এছাড়াও ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। অথচ গত ৫ আগস্টের আগে বালুর দাম ছিল এর অর্ধেকেরও নিচে। সেই সময় বালু বিক্রি হতো ছোট ট্রাক ১৭০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। বড় ট্রাক বিক্রি হতো সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকায়। এছাড়াও ভ্যানে বিক্রি হতো ২০০ টাকা দরে।
রাজশাহী মথুর ডাঙা মোড়ের বালু বিক্রেতা মো. মঞ্জুর বলেন, আগে বালুঘাটে বেশি বিক্রি হতো। এখন বালু তোলা হয় না। তাদেরই বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাবে বর্ষার মৌসুম শেষ হলে আবারো দাম কমে আসবে।

ভ্যানে বালু বিক্রি করেন ফরমান আলী। তিনি বলেন, বালুতো ঘাটে নাই। দুই এক ট্রাক করে আসছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আগে ২০০ থেকে আড়াইশ টাকা দরে বিক্রি করতাম। এখান সেই বালু সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

রাজশাহী রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশনের (রেডার) সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাজী বলেন, আমাদের প্রচুর পরিমাণে বালু লাগে। এটির দাম বাড়লে নির্মাণশিল্পে এর প্রভাব আসবে। আমরা মেনে নিই এই কারণে যে এই সিজনে বালু তোলা যায় না। তবে কেউ কেউ স্টক করে রাখে। কিন্তু এটিতো আর আমদানি করতে হয় না। এটার সঙ্গেতো ডলারের কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও এটি বাড়ছে। এটির সমন্বয় হওয়া দরকার।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর