দেশে ফিরেছেন সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা
নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে গতকাল সন্ধ্যায় স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গেলবারের ধারাবাহিকতায় এবারেও চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য থাকছে বিশেষ ছাদ খোলা বাসের সংবর্ধনা। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতা বাংলাদেশ দল দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এর বেশ আগেই ছাদখোলা বাসটি বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। এই বাসে করেই বাফুফেতে আসবেন সাবিনারা।
এরআগে ২০২২ সালে বিআরটিসির ছাদ খোলা বাসেই সাবিনারা এসেছিলেন বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবন। এবারও তাই হবে। গতবার এই ব্যয় বহন করেছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এবার সেটা বাফুফে করছে।
২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সাবিনারা ছাদ খোলা বাসে সংবর্ধনা পেয়েছিলেন। সানজিদা আক্তারের স্ট্যাটাসের পর সারা দেশে আলোড়ন পড়েছিল। এবারও ম্যাচের আগের দিন সানজিদা স্ট্যাটাসে সেটা স্মরণ করান।
এবারও সাবিনারা ছাদ খোলা বাসে করেই বাফুফে ভবনে পৌঁছাবে। বিআরটিসি বাসের দুই পাশে চ্যাম্পিয়ন দলের ছবি স্থাপিত হয়েছে। বাসের মাঝখানে ট্রফি নিয়ে গ্রুপ ছবি। দুই পাশে দুই টুর্নামেন্ট সেরার ছবি। বাম পাশে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ও ডান পাশে সেরা গোলরক্ষক রুপ্না চাকমার ট্রফি নেয়ার মুহুর্ত।
ঋতুপর্ণা চাকমার ছবির উপরে রয়েছে কয়েকটি লোগো। নারী ফুটবলে দীর্ঘদিনের স্পন্সর ঢাকা ব্যাংক। সেই ২০১৬ সাল থেকে নারী ফুটবলের সঙ্গে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে। বিশেষ এই উপলক্ষ্যে বাফুফে স্মরণ করেছে তাদের। বেভারেজ পার্টনার পুষ্টি, ট্যাকনিক্যাল পার্টনার আমরাও বছরব্যাপী বাফুফেকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তাই তাদের লোগোও আছে বিশেষ এই স্থানে।
বিমাবন্দর থেকে চ্যাম্পিয়ন মেয়েদেরকে নিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে ছাদখোলা বাসটি। এরপর এফডিসি মোড়ে নেমে সাত রাস্তার মোড় হয়ে মগবাজার ফ্লাইওভার দিয়ে কাকরাইল হয়ে পল্টন নামবে। এরপর নটরডেম কলেজর সামনে দিয়ে শাপলা চত্বর পার হয়ে বাফুফে ভবনে নামবেন সাবিনা-রুপনারা।
সাফজয়ী মেয়েদের যে বাসে করে নিয়ে আসবেন তার চালকের নাম মো. মেহেদী হাসান। প্রায় ১০ বছর ধরে বিআরটিসির বাস চালাচ্ছেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। রাস্তায় যেকোনো ধরনের তত্ত্বাবধানের জন্য চালক মেহেদী হাসানের সহযোগী আছেন দুজন। মো. নাজমুল খান (চালক) ও মো. সুজন (কারিগর)।
সোনালী বার্তা/এমএইচ