মামা-ভাগনের একসঙ্গে কাজ, একসঙ্গেই মৃত্যু

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খাল পাড়ে নোঙর করে রাখা এমভি আল-বাখেরা জাহাজে হত্যার শিকার হওয়া কিবরিয়া (৬২) ও সবুজ শেখের (৩১) বাড়ি ফরিদপুরে। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগনে। তাদের মৃত্যুর খবরে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
পরিবার সূত্র জানায়, নিহত মামা গোলাম কিবরিয়া সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের জোয়ারের মোড় এলাকার মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে। তিনি ওই জাহাজের মাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। অপর নিহত সবুজ শেখ একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই জাহাজের লস্কর পদে কর্মরত ছিলেন। গোলাম কিবরিয়া চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড়। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ভাগনে সবুজ শেখ ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে চতুর্থ।
আরও পড়ুন: জাহাজে হত্যার শিকার সাতজনের পরিচয় মিলেছে
সবুজের মেজো ভাই মিজানুর রহমান বলেন, সবুজ মামার সঙ্গে কাজে যায়। সোমবার বিকেলে মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারি মামাসহ সবুজকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত সবুজ শেখের বড় ভাই ফারুখ শেখ বলেন, মাস খানেক আগে তারা দুইজন বাড়িতে এসেছিলেন। সোমবার বিকেলে তাদের মৃত্যুর খবর পাই। কীভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এখন পর্যন্ত কিছুই জানতে পারিনি। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চাঁদপুরে গেছেন। বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো। তবে মামা গোলাম কিবরিয়ার মরদেহ পেলেও সবুজের মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেও জানতে পেরেছি।
গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনা নদীতে আল বাখেরাহ জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।
এমআর/