সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণ দিলেন জো বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ৪৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
জো বাইডেন। ফাইল ছবি

রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন। আর মেয়াদ শেষে বিদায় নেবেন ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেন। ট্রাম্পের দায়িত্ব নেয়ার আগে গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণ দিলেন জো বাইডেন।

 

প্রাইমটাইমে দেয়া ভাষণে ৮২ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, আজ আমেরিকায় চরম সম্পদ, ক্ষমতা ও প্রভাবের একটি অলিগার্কি বিকশিত হচ্ছে, যা আক্ষরিক অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এটি খুব অল্পসংখ্যক অতিধনী লোকের হাতে ক্ষমতার বিপজ্জনক কেন্দ্রীকরণ।

 

আরও পড়ুন: অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি, কার্যকর রোববার থেকে

 

অতি-ধনীকদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাইডেন।

 

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি অতি-ধনীক ‘প্রযুক্তি শিল্প কমপ্লেক্স’ সম্পর্কেও আমেরিকানদের সতর্ক করেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণহীন ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। দেশের জন্য সত্যিকারের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

 

বাইডেন তাঁর ভাষণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফ্ল্যাটফর্মগুলোকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আমেরিকানরা ভুলতথ্য ও অপতথ্যের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে, যা ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফ্ল্যাটফর্মগুলোর জবাবদিহির আহ্বান জানান তিনি।

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) বিপুল সম্ভাবনা দেখলেও এর বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেন বাইডেন। তিনি বলেন, এআই বিপুল সম্ভাবনা উপহার দিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রহরা না থাকলে তা নতুন হুমকির জন্ম দিতে পারে।

 

রূপান্তরমূলক প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই চীনের ওপর নেতৃত্ব নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শপথ ঘিরে নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া থাকবে ক্যাপিটল

 

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তাঁর অর্জনকে হুমকির মুখে ফেলেছে প্রভাবশালী শক্তি। ক্ষমতা, মুনাফার স্বার্থে তারা এই কাজ করছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা নৃশংস সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। এই প্রসঙ্গটিও বাইডেনের ভাষণে উঠে এসেছে।

 

বাইডেন দাবি করেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তিনি গত বছরের মে মাসে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখন যে চুক্তিটিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে, তা তাঁর প্রস্তাবিত কাঠামোর ওপর ভিত্তি করেই করা।

 

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি তাঁর প্রশাসনের সাফল্যের জন্য গর্বিত।

 

বাইডেন বলেন, তাঁরা একত্রে যা করেছেন, তার সম্পূর্ণ প্রভাব অনুভব করতে সময় লাগবে। কিন্তু বীজ রোপণ করা হয়েছে। সেগুলো বেড়ে উঠবে, দশকের পর দশক ধরে প্রস্ফুটিত হবে।

 

আশাবাদী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাইডেন তাঁর ভাষণ শেষ করেন। তিনি আমেরিকানদের দেশ সম্পর্কে তাঁর আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আমেরিকানদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, এখন দেশের জনগণের প্রহরীর ভূমিকা পালন করার পালা।

 

২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বাইডেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও বাইডেন লড়তে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন। সূত্র: রয়টার্স ও সিএনএন

 

এমআর/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর