সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

সিনিয়র রিপোর্টার / ৪৫ Time View
Update : বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
ছবি সংগৃহীত

কারওয়ান বাজার মোড় থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আন্দোলনে নামা বিদেশগামী কর্মীরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে যাচ্ছেন। তাদের পেছনে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন।

 

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে আন্দোলনকারীদের মিছিলটি কারওয়ান বাজার থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে যাওয়া শুরু করে।

 

তাদের এই মিছিলের কারণে কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগগামী রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। রাস্তায় আন্দোলনকারীরা সবার সামনে রয়েছেন, তাদের পেছনে রয়েছে পুলিশ। এসময় যানবাহনগুলোকে ধীরে চলতে দেখা গেছে।

 

আরও পড়ুন: আপাতত লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না খালেদা জিয়ার

 

এ সময় মিছিল থেকে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন, এক দফা এক দাবি মালোশিয়া যেতে চাই, সিন্ডিকেটের কালো হাত বুক ভেঙে দাও।

 

মালয়েশিয়াগামী এই শ্রমিকদের দাবি, টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা মালয়েশিয়া যেতে না পারেনি। এমনকি তারা এখনও রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থও ফেরত পাননি। তাই মালয়েশিয়া যেতে না পারলেও অন্তত তারা তাদের অর্থ ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।

 

এর আগে সকাল সকাল ৯টা থেকে তারা কারওয়ান বাজার মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এসময় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন দিক থেকে আসা যানবাহন কারওয়ান বাজার মোড়ে আটকা পড়ে। এভাবে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা যাবৎ তারা কারওয়ান বাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন তারা। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের অনেকটা জোরপূর্বক সরিয়ে দেয়।

 

আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস

 

এ সময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাঈন উদ্দীন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম উপদেষ্টারা এসে আমাদের দাবি শুনুক, আমাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করুক। কিন্তু পুলিশকে বার বার বোঝানোর পরেও তারা আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে এক পাশে সরিয়ে দেয়।

 

তিনি বলেন, আমাদেরকে বেশ কয়েকবার ধস্তাধস্তি করে ফুটপাথের দিকে সরিয়ে দেয়। আমরা অনেক চেষ্টা করেও মোড়ে দাঁড়াতে পারিনি। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আসছি। আমরা এখন মিছিল নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করবো।

 

আন্দোলনকারীদের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি মোহাম্মদ ইবনে মিজান বলেন, উনারা সকাল নয়টা থেকে এখানে অবস্থান নিয়েছিল। আমরা আধা ঘণ্টা আগে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন রাস্তাটি ছেড়ে দেয়। এখানে অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক আছে, অনেক রোগীর যাতায়াত করে৷ তাদের যাতায়াতে অসুবিধা তৈরি হচ্ছিল। ওনারা আমাদেরকে বলেছিল, আলোচনা করে আমাদেরকে জানাবে৷ কিন্তু যেহেতু ওনারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, তখন আমরা তাদেরকে অবুরোধ করে রাস্তার ধারে সরিয়ে দিয়েছি।

 

এমআর/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর