শাহবাগে ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চার দফা দাবি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন না করায় আবারও শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরর লিখিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ম্যাটস শিক্ষার্থীদের এসব দাবি পূরণের কথা ছিল।
আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যান শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: যতদিন ডেভিল শেষ না হবে অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে জুলুম ও বৈষম্যের শিকার। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জুলাই বিপ্লব সংগঠিত হলেও ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের বৈষম্যের অবসান হয়নি। এই বৈষম্য অবসানের লক্ষ্যে গত ২২ জানুয়ারি চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকার শাহবাগে গণজমায়েত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দাবি পূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে পরে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসে।
তারা আরও বলেন, যেহেতু মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলো এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সেহেতু আমরা লং মার্চ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এই মুভমেন্টের সব দায়ভার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদকে নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আরও পড়ুন: তিনটির বেশি মামলা থাকলে এক্সপ্রেসওয়েতে নিষিদ্ধ গাড়ি
তারা আরও বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ১৬টি সরকারি ম্যাটস ও প্রায় ২০০টি বেসরকারি ম্যাটস ডিপ্লোমা মেডিকেল ডিগ্রি ‘ডিএমএফ’ কোর্সটি পরিচালনা করে আসছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক (ডিএমএফ) ‘গণ-উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার’’ পদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন। বর্তমানে ডিপ্লোমা মেডিকেল তথা ডিএমএফ কোর্স সম্পূর্ণ করা প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ জনবল কর্মসংস্থানহীন হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ
১. স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের শূন্য পদে বন্ধকৃত নিয়োগ অতিদ্রুত সচল করতে হবে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদ সৃষ্টি করতে হবে।
২. প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন, কোর্সের নাম পরিবর্তনসহ (১৯৮৫ সালের সিদ্ধান্ত) ২০২১ এর কোর্স কারিকুলামের ত্রুটি ও অসংগতি সমাধান করে নতুন ইন্টার্ন লগবুক প্রণয়ন করতে হবে।
৩. উচ্চ শিক্ষা বঞ্চিত, বিএমএন্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করতে হবে।
৪. প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড খসড়া আইনের নাম পরিবর্তনসহ প্রস্তাবিত সব ধারায় সংশোধনীসহ বাস্তবায়ন করতে হবে।
এমআর/