২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল বন্ধের হুমকি

স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরিবিধি প্রণয়ন করা না হলে আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে মেট্রোরেল চালানো থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সরাসরি উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছেন, স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন না হলে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল সেবা বন্ধ থাকবে। ঢাকাবাসী মেট্রোরেল সেবা থেকে বঞ্চিত হলে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। ‘ডিএমটিসিএলে সরাসরি উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ’ ব্যানারে দেয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা প্রণয়ণ করতে গত ১২ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা দেন। সেই অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে বিধিমালা প্রণয়ন করে সড়ক বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আসে ডিএমটিসিএলের ৬০তম বোর্ড সভায়।
আরও পড়ুন: কুকি-চিন নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে
এরপর পাঁচ মাস পার হলেও ‘রহস্যজনক কারণে’ সেই বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি মন্তব্য করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা না থাকায় ডিএমটিসিএলের ২০০ জনেরও বেশি দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারী চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিধিমালা প্রণয়নে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জোর দাবি জানানোর পর সোমবার পর্যন্ত ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খসড়া চাকরি বিধিমালার ওপর বিশদ আলোচনা করেছে। খসড়া চাকরি বিধিমালা সংশোধন করে দ্রুত বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধিমালা প্রণয়ন করবে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয় : নাহিদ
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন তারা, দ্রুতই সমাধান হবে। সার্ভিস রুল চালুর একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটা চূড়ান্ত হওয়ার পথে আছে। একটা কমিটি করা হয়েছে, তারা দেখার পর সেটি বোর্ডে যাবে।
তিনি বলেন, “সার্ভিস রুলটা হওয়ার দরকার ছিল, কিন্তু এতদিনেও হয়নি এটা ব্যর্থতা। আগামী তিনদিনের মধ্যে হয়তো হবে না। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। এটার প্রক্রিয়া আছে- এটা শেষ হতে যতদিন সময় লাগে…চাকরি বিধিমালা হবে।
এমআর/