সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন

আজও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

সিনিয়র রিপোর্টার / ১৫৪ Time View
Update : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ছবি সংগৃহীত

ঘনবসতি এবং যানবাহন ও শিল্পকারখানার কালো ধোঁয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে প্রতিদিনই প্রথমদিকে জায়গা করে নিচ্ছে রাজধানী ঢাকা, যার ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও।

 

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায় বায়ুর গুণমান সূচক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ২৪০। বায়ুর এই মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার ৭ দিনের রিমান্ডে

 

একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজ ২১১ স্কোর নিয়ে বিশ্বে বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয় অবস্থানে পোল্যান্ডের ক্রাকো, স্কোর ১৮১। চতুর্থ ও পঞ্চমে যথাক্রমে নেপালে কাঠমান্ডু, স্কোর ১৮০ এবং ভারতের দিল্লি, স্কোর ১৭৯।

 

মূলত, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

 

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

 

আরও পড়ুন: মেয়াদ বাড়ল ৫ সংস্কার কমিশনের

 

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম-১০ ও পিএম-২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

 

বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।

 

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

 

আরও পড়ুন: কুকি-চিন নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে

 

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

 

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

 

এমআর/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর