রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন

দেশে ফিরছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪৪ Time View
Update : বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
ছবি সংগৃহীত

মানবপাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি জীবন কাটানো ১৮ বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন।

 

গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে থাইএয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তাদের দে‌শে ফেরার তথ্য জানিয়েছে ব্র্যাক।

 

আরও পড়ুন: তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য গুরুতর : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

ব্র্যাক জানায়, ভালো চাকরি ও বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচারকারীরা এই বাংলাদেশিদের প্রথমে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে নেওয়া হয় মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে। সেখানে পাচারকারীরা তাদের দিয়ে জোরপূর্বক সাইবার অপরাধমূলক কাজে করাতো। কেউ রাজি না হলে বৈদ্যুতিক শকসহ ভয়াবহ নির্যাতন করা হতো। এমন নির্যাতনে একজন অসুস্থ হয়ে রক্তবমি শুরু করলে তার সঙ্গে জুনায়েদ নামে এক বাংলাদেশিকে দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর জুনায়েদ সেখান থেকে পালিয়ে নদী পেরিয়ে থাইল্যান্ডে চলে আসেন। এরপর তিনি বাকিদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন।

 

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান (মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) জানান, জুনায়েদসহ ভুক্তভোগীদের পরিবার থেকে তাদের উদ্ধারের জন্যে ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসসহ সবার নিরলস প্রচেষ্টায় দুঃসহ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান ১৮ বাংলাদেশি। মঙ্গলবার থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরেছেন।

 

উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন- ওমর ফারুক, রাশেদুল ইসলাম রিফাত, আলিফ ইমরান, মোহাম্মদ রায়হান সুবহান, এস কে আরমান, পাভেল চৌধুরী, মনির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, নাজিম উদ্দীন, জহির উদ্দিন, তানভীর আহাম্মেদ রাফি, তাইনুর খলিলুল্লাহ, সায়মন হোসেন আবির, উজ্জ্বল হোসেন, মেহেদী হাসান শান্ত, মোহাম্মদ কায়সার হোসেন, শাহ আলম ও আকাশ আলী।

 

আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ

 

ব্র্যাকের সহযোগীতা পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, সাইবার স্ক্যাম মানবপাচারের ভয়াবহ একটা ধরন। কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কলসেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ইমেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার চলে। এরপর তাদের সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করা হয়। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় কাজের কথা বলে যাওয়ার বিষয়ে এজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এসব বিষয়ে বিদেশগামীসহ সবার সচেতনতা প্রয়োজন।

 

এমআর/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর