সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সরকারের অদক্ষতার বড় শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সরকারের অদক্ষতার বড় শিকার হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের সামনে অলৌকিক লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দেওয়া হয়। তবে, এ বছর মন্দার মধ্যেও কর আদায় বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি। প্রয়াত সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন স্মরণে ‘ব্যষ্টিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ এবং এগিয়ে যাওয়ার উপায়’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করা হয়।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিবছর প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করে বাজেট কমছে। যা বাজেট দেওয়া হয় তার ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন হচ্ছে। বর্তমানে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৬ থেকে ১৭ শতাংশের বেশি সরকারি ব্যয় হয় না। সরকারের অদক্ষতার বড় শিকার হচ্ছে এনবিআর। এনবিআরের সামনে অলৌকিক লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দেওয়া হয়।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো বলেন, জিডিপির অনুপাতে ঋণ কম দেখানো যাচ্ছে, বিপরীত ফল দেখা যাচ্ছে রাজস্ব আয়ে। জিডিপির অনুপাতে রাজস্ব আয় বাড়েনি। যারা কর দেওয়ার কথা তারা দিচ্ছেন না। কর ব্যবস্থাপনায়ও দক্ষতার অভাব এবং দুর্নীতি রয়েছে। কর দেওয়ায় মানুষের আগ্রহ কম। কারণ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণপরিবহনে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না তারা।
আগামীর সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে তিনি বলেন, সমস্যার মধ্যেও অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বাস্তবায়নে শুল্ক বাড়ানো, প্রণোদনা কমানোর মতো কিছু সুবিধা সরাতে হবে। এগুলোর মধ্যে সমন্বয় হতে হবে সুচারুভাবে। যাতে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান, এসএমই, গ্রামীণ শিল্প, অভ্যন্তরীণ বাজারে যারা কাজ করেন তারা সমস্যায় না পড়েন। আবার করপোরেট করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, করের ন্যূনতম মাত্রা বাড়াতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে ড. দেবপ্রিয় বলেন, এবছর ভালো ফসল হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মজুত বাড়াতে গুদামজাত করতে হবে। টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে যাদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাদেরও তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কারণ যারা এ সুবিধা পাচ্ছে তারা উপযুক্ত কিনা তা স্থানীয় মানুষের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে। খোলাবাজারে বিক্রি বাড়ানোর পাশাপাশি এ কর্মসূচিকে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে নিতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।

সোনালী বার্তা/এমএইচ

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর