রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন

মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ-মো. জাহাংগীর আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা (মাঠ প্রশাসন) যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলায় কী সমস্যা আছে তা বলেছেন। পার্বত্য জেলায় হেলিকপ্টার দেওয়া হয়, সেখানে তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আলোচনা হয়। কমিশন সেটিতে সম্মত হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রতিটি উপজেলায় দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত জনবল দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে। কমিশন সেটি বিবেচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। মূলত মাঠ প্রশাসন যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যানরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন’— আদালতের এ নির্দেশনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষ করলে জাহাংগীর আলম বলেন, মামলার আদেশের কপি এখনো পাইনি। পেলে আপিল করা হবে।

মাঠ প্রশাসন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেছে কি-না? জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, তারা চ্যালেঞ্জের কথা বলেনি। তারা যেটা বলেছে, স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে… সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি হবে, এজন্য তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন। সহিংসতার আশঙ্কা করেননি। গোয়েন্দা রিপোর্টে সেটি থাকে। কোথাও কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সাধারণ কেন্দ্রে চার জন, অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র পাঁচজন সদস্য (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) থাকবেন। পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচনের জন্য অধিক সতর্কতা অবলম্বের জন্য বলা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, আচরণবিধি যাতে সবাই যথাযথভাবে প্রতিপালন করেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বৈঠকে অনেকে অনুরোধ করেছেন। কমিশনও সেটি আশ্বস্ত করেছেন যে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর